Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

প্রতীতি


শূন্যতা জুড়ে থেকে যাওয়া রঙ 
মুছে গেলে আগ্রাসী পারাবার।
উচ্ছেদহীন, তবু স্থির ছিল যতটুকু,
কালিন্দীর ঢেউ হয়ে ডানায় আঘাত করে;
আয়্‌নিক কি আয়্‌নি আয়্‌নিক শাবিন [1]
খামসিন দেখেনি দু'চোখ,
বাঁধ ভাঙতে দেখল বলে শুধু,
নীরব পদাঙ্কে, উত্তরীয় সমর্পণে
অশরণ মনে পড়ে।
পতত্রীর ভগ্ন ডানায়, মৃত প্রতিপদে;
ঋদ্ধ দহন, অনুবর্তনে
ক্ষমাহীন হল আজ,
কাকে যেন ছেড়ে এগিয়ে যাবে বলে।
মেহ্‌রিনীয় তর্জমায়, নিরাগ অনুস্বরে,
আখলাকি পাখির মৃত সন্তাপ 
শেষ পরিযানে তাই বলেছিল যেন,
"The bird may die, you remember the flight.
... you remember the flight." [2]


1. عينيك كي عيني عينيك شابين - তোমার দুচোখ যেন আমার, ওই সুন্দর দুই চোখ

2. "The Bird May Die" by Forugh Farrokhzad 

Comments