"যদি জল আসে আঁখিপাতে, শ্রান্ত কণ্ঠে মোর সুর ফুরায়..."
যে কথাগুলো আমার বুকের ভিতরটা ফাঁকা করে দেয়, অনেকটা ছোটবেলার নাগরদোলার মত। তখন ওপর থেকে নীচে নামতেই একটা শূন্যের অনুভূতি গ্রাস করত। ঠিক সেরকম। আজ সকালে উঠেই দেখি বাইরে রোদ ঝলমল করছে। ভাবলাম, সর্বনাশ দুপুর হয়ে গেল নাকি। তারপর ঘড়ির দিকে তাকাতেই এক স্বর্গীয় সুখ লাভ হল। দেখলাম নাঃ সাড়ে ছটা হয়েছে। জানলার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই শুনি IICB এর দিক থেকে গানটা ভেসে আসছে।
অতএব আমার আজ ছুটি। সব ছুটিই খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়, সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি কিন্তু যা শেষ হওয়ার নয় তা serotonin rush। এত কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা লেখার পরেও আসল কথাগুলো লেখাই যাচ্ছে না। সেই যা কিছু শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়। causality violation আর কী। আর যা পরে থাকে তা বড় ভারী। তাকে লিখে, বলে, বুঝিয়েও ছেড়ে আসা যায়না। ওই কথাগুলো মনে পড়ে "দুঃখ পেওনা ইকারাস, ঈশ্বর তোমায় মেঘ বানাবেন বলে ডানা দেননি"। কিন্তু এমন যদি হত ইকারাস ডানা চায়নি, সে হেঁটে পেরিয়ে যেতে চেয়েছিল বনের পর বন, তারপর একদিন সেই পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে চেয়েছিল তাঁর মুক্তির কথা, সে হয়তো চেয়েছিল তাঁর আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হাহাকার জোনাকি হয়ে উড়ে যাবে একদিন, হয়তো বা মেঘগুলো তাঁর বিষাদ নিয়ে চলে যেত অনেক অনেক দূরে....কিন্তু এভাবে ইকারাসের মুখের আদল বদলে বদলে কেন চেনা কোনও মুখ হয়ে ওঠে প্রতিবার, কেন এভাবে চেনা গানের সুর অচেনা হয়ে ওঠে, কেনই বা তিতাসের জলে ভাসিয়ে আসা নৌকোচিঠি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি তা ইকারাসের ঈশ্বর বলতে পারেননি, তা নাহলে .....
...... এতক্ষণে বাদাম গাছের ডালে আটকে যাওয়া ঘুড়িটা পাক খেতে খেতে নীচে নেমে আসত, আর ওপর দিকে তাকালে হয়তো দেখা যেতে পারত নীল ঘুড়ি মিশে মিশে যাচ্ছে আকাশের গায়ে.....ইকারাস।
"একদিন যদি বাধা পড়ে কাজে, শারদ প্রাতে তবু ....."
Comments
Post a Comment