Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

তুমি এলে যখন

পাড়ের মাঝে জোড়াতালি
ছিন্নভিন্ন টুকরো কথা
জুড়তে গেলে নকশি কাঁথা
আলগা সুতো 
জমকালো বেশ
গাঁথতে পারা, ছিঁড়তে পারা,
সূক্ষ্মসূচীর পত্রমালা
পাথরকুচি
বিস্মৃত প্রায়
গতজন্মের দ্বিপাক্ষিক
সারি বাধা, জড়িয়ে বাঁধা
কঙ্কালসার ভুল;
বাধন খুলে বাঁধতে থাকা 
অনিয়মিত 
অন্যনামে
নামমাত্র মাত্রনামে
পৌষালী এক আরোপ দোষে
এক ফসলি উক্তি স্বীকার
ঋতম্ভরা, কঙ্কাবতী
নীলকণ্ঠ ভ্রান্তিসম
জন্মায় না পুনঃপুনঃ।

ফাঁসিকাঠে মৃতদেহ
নয়ানজুলি
গা ডুবিয়ে
রূপনারাণী রূপের খোঁজে
মোহনমাঝি
নৌকাডুবি
তুর্কিনাচন-মরণবাঁচন,
ক্ষণিক মাঝে ধনেখালি
নীরাগ সজল
পদ্মনয়ন,
রক্ত ওঠে ফিনকি দিয়ে
বিন্নি ধানের খই।
খানিক হৃদয়, হৃদয় ক্ষণিক
ভাষা-ভাঙা-পাড়
ভাঙা-পাড় ভাসে
আশমানি স্বর
অমলতাসে,
নোঙর তোলা
প্রলাপ-গোলাপ,
বকুল ঝরে কই?

নোনতা স্বাদে
গল্প ভুলে
ভুল গল্পের মাশুল গোনে
মাত্রাবহু!
সপ্তপর্ণী
তিনসত্যি তিনসত্যি
মন্দভালো 
তাসের বাসা
যাযাবরী চালে
আশাবরী গান
সব সত্যি। তিন সত্যি।
কল্পতরু, মৃদঙ্গ তাই
শুনতে হবে তাও সত্যি।
আলফানি গান শুনতে পেয়ে
উলগুলানের ভয় পেল যে
কৌরবী নদী
প্লাবনী বেগে,
উরু-মেরু খন্ড বেচে,
মহুয়ার নামে দিব্যি ক'রে,
জলের দরে
আচম্বিতে
হৃদয় কিনে;
নকশি কাঁথায়,
ভিজতে থাকা
আলগা সুতোয়,
ইস্কাবনে;

ওরা সব পালিয়ে বাঁচে
ওরা সব পালিয়ে বাঁচে।


 


Comments