প্রতিদিনের মত ভাবতে বসি। কী যেন লিখতে হত। মনে পড়তে পড়তে তালগোল পাকিয়ে লেখা হয়ে ওঠেনা। নিয়ম মেনে অসুখী দুপুর গড়িয়ে যায়।
মায়ের আজ বুঝি স্নান করতে বেলা হয়ে গেল। দূর থেকে শুনেছি শাঁখ বাজল। তিনবার বাজল? গুনতে ভুল হয়ে যায়। দুবার শুনেছি আজ। রোদে পুড়ে যেতে যেতে মনে পড়ে যায়, কেউ বলছিল, "I gazed—and gazed—but little thought" এমন তীব্র হলদে আলোয় হয়তো কোনও চোখে প্রতিফলিত হচ্ছে মায়াবী স্বপ্ন; দেখতে দেখতে ঘোর লেগে যায়। 'ড্যাফোডিল?' 'না, সূর্যমুখী।' একটু পরে বৃষ্টি নামবে। পুকুর ছাপিয়ে জল ওঠে। সূর্যমুখীর ক্ষেত ডুবতে থাকে। একসময় ওদের ছোঁয়া যায় না। ভয়ে জল থেকে হাত সরিয়ে নেই। কে যেন বলল, 'ড্যাফোডিল?' নার্সিসাস? গলা শুকিয়ে আসে। ভয়ে। তেষ্টায়। ছুটতে ছুটতে বাড়ি পেরিয়ে যায়। ঘরে ফেরা বাকি থেকে যায়। মা প্রদীপ জ্বালে। তুলসী তলা, শিউলী গাছে সন্ধ্যে নামল হয়ত। গত জন্মের মতো ধূপের গন্ধ মনে পড়ে। আমার দুচোখ জুড়ে জলপট্টি দিতে দিতে কে যেন নিশ্চিন্ত হয়। আমিই বোধহয়। জ্বর নেমে যায়। চোখ বেয়ে।এবার ফিরে যেতে হবে, মা। বলা হয়ে ওঠেনা। তার অনেক আগেই ঝড়ো হওয়ায় কতকিছু ভেঙে পড়েছে। বুঝতে পারি প্রদীপ থেকে আরাত্রিক তাপ ফুরিয়ে আসে। কর্পূর শেষ হয়েছে অনেক কাল আগেই। জানলার পাশে দাঁড়ালে জানতে পারি এখান থেকে দৌড়েও মা-এর কাছে ফেরা যায়না। নিজের কাছেও না। এরপর কে যেন বলবে, 'নার্সিসাস?' টেবিলের কোণে কুড়িয়ে আনা বকুলগুলো সাজিয়ে রাখি।
Comments
Post a Comment