Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

টুকরো কথা : ০৬

প্রবল আঘাত আমায় নৈঃশব্দ্য দেয়। উঠে চলে যেতে ইচ্ছে হয় খুব। নতুন চাদর পেতে, সব ঝেড়ে পরিপাটি দেখে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। বসে থাকার দাগটুকু মুছে দিয়ে জানলার ফাঁক দিয়ে পিছলে আসা আলোয় যে ধুলোবালি ওড়ে ওদের সাথে আমি উড়ে যেতে চাই। ওদের মত আমায়ও কেউ মনে রাখেনি। তাই কী ভীষণ অনায়াসে উঠে যাওয়া যায়। তারপর লোভ হয়, বড় লোভ হয় থেকে যেতে, পরিপাটি বিছানায় বসে, আমার থেকে যাওয়াগুলো রেখে যেতে। তারপর? ধুলোবালি চোখে পড়ে। জল ঝরে ক্রমাগত। একসময় দেখি ছাই রঙ আমায় বুকে টেনে নেয়। জানলার গরাদ ডিঙিয়ে ধুলো-বালি-ছাই উড়ে যায়। আমার মত।
কবেকার পুরানো অনুতাপ আমায় উঠে যেতে শেখায়। আজ। শুধু ফিরে আসা ছাড়া।

Comments