Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

হিসেব -নিকেশ

অনেক দিন পর পাওনাগন্ডা বুঝে নিতে হিসেবের খাতা খুলে বসলুম।দেখি সব ফাঁকা ।একটাই অঙ্ক ছিল,ব্যাটাকে যেই না ধরতে যাব গেল ফসকে।আর কী!পাশেই ছিল বসে এক বিশাল ডানাওয়ালা ...না না ,থুরথুরে বুড়  না...এক মস্ত হনু,আড়চোখে তার দিকে তাকাতেই দেখি সংখ্যা গুনেই চলেছে,গুনেই চলেছে শেষ আর হয় না। আমি তো ভাবি এবার?এবার কি করে বাড়ি ফিরব? খাতাটাকে বললুম ,"এবার কিছু তো করো।" তার মধ্যে এক ব্যাটা কাকের বাচ্চা মাথায় ঠুকরে চলে গেল। ক্লাস টেনের বাংলা বই-এর খোঁচা আর কী। কিন্তু সে খোঁচা খুঁচিতে আমার বুদ্ধির বিকাশ ঘটার কোনও সম্ভাবনা না দেখে আমি মনোযোগ দিলাম। ঘুমে।ওমা!কি হলো জানো তারপর?

দেখি খাতার পাতাগুলো আমার পিঠে  জুড়ে যাচ্ছে ...দেখতে দেখতে ডানা হয়ে গেল।কানে কানে কে যেন বলল, "ওড়, ওড়।"

আর হিসেব । আমি তো উড়ছি।সূর্যটা গলে গলে যেমনি গায়ে  পড়তে যায় ডানা দুটো দেখি আড়াল করে। পিছনে ফিরে দেখি গাছ থেকে কী যেন  পড়ল। দেখি কত অকাল পক্ক সর্বজ্ঞ এঁচোর খসে পড়ল ।মনে হয় এবার potential energy কমলো।

ভাবছি বাড়ি গিয়ে ডানা দুটো খুলে রাখবো ।আবার কখন দরকার পড়ে।এখন যাচ্ছি বাড়ির দিকে।আর ভয় নেই ।

ওখানে কেউ খাতা খোলেনা।হিসেব মেলায় না। আমার প্রিয় শূন্য আছে যে সেখানে।

                                                 

Comments