Skip to main content

Featured

যে চোখ দিয়ে আমি মানুষ চিনলাম, যে কান দিয়ে আমি শুনলাম ভালোবাসি, যে হৃদয় দিলাম শতদল করে, সবশেষে যে শরীর আমি চিনেছি ঈশ্বররূপে, তার প্রতিটি স্তর মিথ্যে, আবেশ মিথ্যে। এমন ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা অতি বড় শত্রুরও যেন না হয়। 

টুকরো কথা : ০৯

শাড়ির আঁচল বড় মায়ের কথা মনে করায়। সব ছেড়ে ছুড়ে পালাতে ইচ্ছে করে খুব। বোধহয় মন খারাপের রঙ সাদা কালো থেকে কখনও কখনও লাল হয়ে ওঠে। মায়ের কপালের সেই বড় লাল টিপ। লাল বাঁধানো মেঝে। প্রতিদিন একটু একটু করে আলপনা মুছে যায়। টেস্ট পেপারের ওপর মুখ থুবড়ে ঘুমিয়ে পড়ে কেউ। আর পদ্মের অভিযোজন? সে বেচারা ঘামে ভিজতে থাকে। হারুন সালেমের মাসি ঘুমের ঘোরে কলমী শাক ভেবে পেনসিলও চিবিয়ে ফেলেছে ততক্ষণে। এক্সট্রা জ্যামিতির চার নম্বরের হয়তো জিলিপির প্যাঁচ ভাজাও শেষ। মহাবিদ্রোহ ১৭ না ১৮ নিয়ে মারামারি করে ফেলেছে। উত্তর ভারতের ইক্ষু উৎপাদন কেন্দ্র সেই ফাঁকে বিন্ধ্য পর্বত পেরিয়ে লোকটাক হ্রদে স্নান করে অনার্যদের ঠেঙিয়ে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে। সম আয়তন সকল গ্যাসের সম সংখ্যক অণু বিপদে পড়ে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে পড়তে শুরু করেছে "And all I ask is a windy day with the white clouds flying".... এরপর হঠাৎ দরজায় টোকা পড়তে কেউ ধড়মড় করে উঠে বসবে। মলিদি নীচে ডাকছে। একটা শাড়ির আঁচল হোস্টেলের ঘরের জানলায় আটকে গেছে। ছাড়িয়ে দিতে হবে। ছাড়িয়ে দিতেই হাওয়ায় মায়ের গন্ধ ভেসে আসে। এই গন্ধ লাল রং হয়ে এতক্ষণে হয়তো পৌঁছে গেছে কোনও উঠোনে, কিংবা বারান্দায়। যেখানে মায়ের শাড়ি ওড়ে। আর আঁচলের ফাঁক দিয়ে যে শাদা মেঘগুলো চলে গেলো ওদের কানে কানে আজ অন্তত কেউ বলে দিক বাড়ি ফেরার পথ। সারা পথ জুড়ে ওদের আগলে রাখুক আলো আলো হয়ে ওঠা এক স্বর, 'আবার আসিস।'

"And all I ask is a windy day with the white clouds flying....."

Comments