Skip to main content

Featured

যে চোখ দিয়ে আমি মানুষ চিনলাম, যে কান দিয়ে আমি শুনলাম ভালোবাসি, যে হৃদয় দিলাম শতদল করে, সবশেষে যে শরীর আমি চিনেছি ঈশ্বররূপে, তার প্রতিটি স্তর মিথ্যে, আবেশ মিথ্যে। এমন ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা অতি বড় শত্রুরও যেন না হয়। 

টুকরো কথা : ১০

ফেলে আসায় কত অল্প সাজ, নিশ্চিন্তে ঝুপ করে সন্ধ্যে নামে। অথচ কত আয়োজন চলে যেতে যেতে। ছাতিমের মায়াডোর, সুবর্ণরেখার পাশে আজীবন দাঁড়িয়ে থাকা তেজপাতা গাছের নীরব উচ্ছ্বাস, কিংবা জিম ঘরের পিছনে একঝাঁক জবার আদিম অনুরাগ। অথচ শরতের আকাশ মেঘ পুষল বলে বলছিলে, মৃত্যু শোকহীন। দীঘল অভিমান ভাসিয়ে দিলে ধূসর রঙে। তুমি পড়ছিলে দুর্বিষহ দিন, লিখেছিলে বীতশোক হয়ে ওঠা গতজন্মের অভিশাপ। অথচ তুমি তাকে ডাকলে রাজমুকুট নামে। সূক্ষ্ম তীর বিদ্ধ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগেই তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, ঈশানী আলো। ধ্রুব বলে পরিচিত হল শেষে, "Nothing comes from nothing. Nothing ever could?" তাই বোধহয় Miserable past. জটিল-তর-তম ত্রয়ী হল কিনা বোঝা গেল না। সমদর্শনে হয়তো কিছু দৃষ্টি পক্ষপাতদুষ্ট হল, তবে মৃতশোক তাতে আভরণহীন হয়, তাতে রূপকথা জেগে উঠে ফুলগন্ধ পায়। দ্বীপান্তর থেকে ছায়া হয়ে ফিরে আসে, কিছু মানুষ। তারা যেন এবার ভালোবাসতে শেখে, তারা যেন এবার ভালোবাসতে শেখে। অপভ্রংশ স্বর যেন নলিনী হয়ে ওঠে, অতল থেকে। ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়? তিন সত্যি। প্রথম আলো বারবার ফিরে আসে, স্বপ্ন রঙ মেখে ভেসে যায়। একেই তবে বলে প্রবাহমান? নাকি ঋতি? তবু বিনিদ্র হয়ে রাত চলে যায়। রেখে যায় কিছু কিছু আঁধার,  চোখের তলা থেকে নীচে নামে তারা। ক্রমাগত। সপ্তপর্ণীর সামনে দাঁড়িয়ে কে যেন গাইছে আজ, "দাঁড়াও আমার আঁখির আগে। তোমার দৃষ্টি হৃদয়ে লাগে॥" এ বিভোর রূপে পরজন্ম আসে। সশব্দে তবু ভ্রান্তি ভেঙে যায়। অক্ষত ভ্রম নির্মোহ হয়ে ওঠে। এবারেও সেই ভ্রম ভেঙে আসলেনা, জাদুকর। ঋতব্রত এ নাম তবে কাকে দেই আজ?


Comments