Skip to main content

Featured

যে চোখ দিয়ে আমি মানুষ চিনলাম, যে কান দিয়ে আমি শুনলাম ভালোবাসি, যে হৃদয় দিলাম শতদল করে, সবশেষে যে শরীর আমি চিনেছি ঈশ্বররূপে, তার প্রতিটি স্তর মিথ্যে, আবেশ মিথ্যে। এমন ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা অতি বড় শত্রুরও যেন না হয়। 

কোজাগরী

কটু একটু করে হারিয়ে যায় যা কিছু, তার বেশীরভাগটাই হিসেবের বাইরে থাকে। আর যেটুকু লিখে রাখা গেল সেসব পালক হয়ে উড়তে থাকল বুড়ো বটতলার দিকে। এই হিসেব নিকেশের মধ্যে সঞ্চয় বড় কম। যা পাওয়া যায় তার সবটাই যে খরচ হয়ে যায়। মা এনে দিত মাটির ঘট। ভাঙবো না, তাই জমাতে শেখা। জমতে জমতে ভারী হয়ে ওঠায়, তাকে কুলুঙ্গি থেকে আর নামানো হয়নি কখনো। আর ওদিকে কত পালক উড়ে গেল ততদিনে। বুড়ো বটতলায় সন্ধ্যে নামলে, ছোটদের ভিড়। দাদুভাই টেলিস্কোপ নিয়ে আসে। লাইরা নক্ষত্রপুঞ্জ। অর্ফিউসের বীণা, ঝংকার পারাপার করে ইচ্ছামতী। দাদুভাই বলত, ইচ্ছামতীর বয়ে যাওয়ার কথা। একমুখী পথ। ফিরে তাকায়নি কখনো। 'দাদুভাই, চলো ইউরিডিসকে আমরা মোহনা বলে ডাকি।' দাদুভাই হাসতে হাসতে অন্ধকার নেমে পড়ল ঝুপ করে। "মন রে মোর পাথারে হোসনে দিশেহারা।" হাওয়ায় হাওয়ায় শাদা পালক ওড়াউড়ি করে। নির্ভার। প্রাপ্তি সঞ্চয়ী হয়ে ওঠে। দায়হীন। অপলক। 

দাদুভাই, এমন জীবনকে আজ কী নামে ডাকি? কোজাগরী?


Comments