Sturmfrei। The freedom of being alone।
গতকাল যা বুঝলাম তার সারমর্ম এই যে জটিলতা কমিয়ে তাকে সহজ, সরল, বোধগম্য করার চেষ্টার থেকে জটিল আর কিছুই হতে পারেনা। এর সঠিক কারণ হয়তো আপেক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি। আবার হয়তো বা বিদ্বেষ। যা শুনলেই মনে পড়েছে, জানলার পাশে বসে থাকার কথা। কে ছিল তখন? কোন হাত ছুটে এসেছে? কাকে ভরসা করা যায় এই দ্বন্দ্ব আসবেই বা কেন? যেখানে পদ্মপুকুর আছে জেনেও ছুটে ঝাঁপ দেওয়ার মত উচ্ছ্বাস ছিল যার। অদ্ভুত প্রশ্ন সব। যার নিজেরই বিশ্বাসযোগ্যতা অনিশ্চয়তার মুখে। শেষ অবধি তাই বরাবরের মত নিজেকেই কাঠগড়ায় তোলা বেশী সুবিধার। সহজ সরল করার অন্যতম ধাপ উতরে যাওয়া গেল কত সহজে। অতএব, প্রমাণিত হল, ওটা বিদ্বেষ নয় বিষাদ। এরপর সাজা ঘোষণার পালা। এর জন্য অবশ্য খুব সহজেই মানুষ খোঁজা যায়। কাল পড়লাম ভালোবাসতে গেলে নাকি গাছ পালা, ছায়া কত কী হয়ে ওঠা দরকার। যেমন খুশি সাজো। এবার তার সাথে শাস্তির সম্পর্ক? খুবই সোজা। ঝড় উঠলে গাছ তলায় দাঁড়িয়ে পড়। আর তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে গাছকে ভালোবেসো। হাঁটতে হাঁটতে ক্রমশ চলে যেও। দূরে। যেতে যেতে মনে কোরো, স্থিরপদে ছায়া ছুটে আসে। যেন এই বুঝি পিছুটান স্বাধীনতা কেড়ে নেবে। তাতে কি গতিপথ বদলে যায়? নাকি বদ্ধ হতে হতে এক সময় বিন্দুও মিলিয়ে যায়? একজন, দুজন, ... এভাবেই ভিড়ের মুখে পদপিষ্ট হতে হতে সেই বিন্দু ছুঁয়ে আসা যায়। সহজ সরল মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করা হয়।
Sturmfrei। The freedom of being alone।
Comments
Post a Comment