Featured
- Get link
- X
- Other Apps
টুকরো কথা : ১৩
木漏れ日 বা komorebi কি সুন্দর না শব্দটা? বিকেল চারটে বাজলেই স্কুল থেকে দৌড়ে বাড়ি ফেরা, কেন? কারণ পড়ার ঘরের জানলার পাশে যে নিম গাছটা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে, "বাবলি"-র মন খারাপকে যে অজান্তেই নিজের করে ফেলে কেঁদে বইয়ের পাতা ভাসায় এমনই ভাবে যে বুদ্ধদেব গুহ থাকলে হয়তো বলতেন, try to learn negative capalibity, তাঁর বই পড়ে যা শেখা অসম্ভব, তাকে দেখবে। সেই মেয়েটার সবসময়ের বন্ধু এই নিমগাছ। যাকে সে ভালোবেসে শরণ্য বলে ডাকে। ভালোবাসার মানুষের নাম, শরণ্য। সব সময়ের জন্য যে শরণ্য। যাই হোক, বিকেল চারটেয় নিম পাতায় আলো পড়ে, ফাঁক দিয়ে আলো পালায়, তারপর তারা লুকিয়ে পড়ে ঘরের কোণে, পড়ার টেবিলের ওপর। টেরাকোটা মেশানো অদ্ভুত সেপিয়া টোন, মন খারাপ থাকতে দেয়না। এই যে লুকিয়ে সেই আলো দেখা করতে আসে তাতে যে দুঃসাহস থাকে, এক অদ্ভুত ভালোলাগা থাকে তাতে মনখারাপ লুকোচুরি খেলতে খেলতে কখন হারিয়ে যায় বকুলতলা হয়ে শরণ্যের কাছে। শরণ্য না থাকলে হলদে আলো ম্লান হয়ে যায়, একটু একটু করে ধূসর মিশে তাকে সরিয়ে নেয় অনেক অনেক দূরে, অতদূরে ফিরে দেখা অভিমানের অসাধ্য। তাই কথার কথা ফুরিয়ে আসে, শুধু আলো ছায়ায় সারাদিন ধরে শরণ্যকে খুঁজে চলে সে, শেষ বিকেলে মাটির রাস্তা ধরে শরণ্য হেঁটে যাবে।
"যে আছে মাটির কাছাকাছি, সে কবির বাণীর লাগি কান পেতে আছি "
- Get link
- X
- Other Apps
Popular Posts
আমার কষ্টগুলো ডালিমের মতো, লালের জমাট কেউ ভাঙতে পারে না
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment