Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

টুকরো কথা : ১৭

যতবার আঘাতে কেবল দীর্ঘতর হয়েছে চিরকালীন শোক, ততবার সে মনে প্রানে চেয়েছে সমর্পণ, এক সদ্যজাত ফুল এই বুঝি হাতে তুলে দিল কেউ। অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ত একদিন, তার কাগজের নৌকা ভাসতে ভাসতে কূল পেতনা ঠিকই কিন্তু সেই ফাঁকে নতুন ইচ্ছে জন্মাত। সে পাহাড় দেখবে, তার চিলেকোঠার ঘরে নতুন বই আসবে, হঠাৎ কালবৈশাখী এলে অঙ্কের পাতাগুলো মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। যা কিছু অগোছালো সে সাজিয়ে নেবে আবার। খাতার পাতা ছেড়ে লাল মেঝেতে বসে যে সারা দুপুর ধরে বহুদিনের আটকে যাওয়া অঙ্ক ছাড়াতে বসবে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে কাগজি ফুল গাছ তার আশ্রয় হয়ে উঠবে। একদিন সে জানতে পারল স্বপ্ন একা দেখতে হয়, বড় ভুল হয়েগেছিল সেদিন। একটা ইচ্ছের বোঝা সে তুলে দিয়েছিল অন্যের হাতে, যেমন করে সে জেনেছিল যাবতীয় আঘাতের পাশে প্রত্যাঘাত এর অবস্থান হয়তো নিয়তি, তেমনি নানা ঘাত-প্রত্যাঘাত ফেলে এসে এক সদ্যজাত ফুলের সমর্পণ হয়তো সেই নিয়তির মাঝে একটা ফাঁক। মুক্তির উপায়। যে ইচ্ছে তার আজন্মলালিত। কিন্তু, ভুল হয়ে যায় তাকে অন্যের ওপর আরোপ করায়। অপরিচিত আঘাত তাকে বড় দূরে নিয়ে গেল, যেখানে দৃষ্টি পৌঁছাল না। তবে সে ইচ্ছের নিথর দেহ দিয়ে গেছে কেউ। নিষ্কৃতি।

Comments