Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

এ জীবন তোমার সাথে নয়

১.

চলে যাবে তুমি বিহানকালে,
করবীর পথে, ছড়ানো সন্দিহানে।
যতদূর গেলে সন্ধ্যে শীতলপাটি,
যতদূর গেলে মোরাম জমাট সুখ,
সৃজনী নিষাদে, বিবশ সংলাপে
স্তব্ধ হয়ে যায়।

২. 

কতপথ পেরিয়ে গেলে ঘরে ফেরা যায়?
যতদূর হেঁটে গেলে মাকে দেখা যায়।

কুলুঙ্গির গোপন বক্ষে লক্ষ্মীর আনাগোনা
সিকি আধুলী আনা, মায়ের গুপ্তধন,
পাঁচালী পড়ে মায়ের মত কেউ
মা তবু নয়।
জুঁই চাঁপা চুল
মায়ের হাতে জল থৈ থৈ খেলা,
গরম ভাতে মায়ের শরীর পোড়ে
সংসার ঢেঁকুর তোলে 
মাছ-সব্জীর গুণে।
শব্দহীন শংসায় উদ্বেলিত মা,
সে তো মা নয় মোটে।

মায়ের শরীর কেরোসিন গন্ধ চেনে
মায়ের হৃদয় আস্তাকুঁড়ের মত
ঝাড়ু দেওয়া হয় নিয়মমাফিক
ইচ্ছেখুশি মতো।
মায়ের খিদে সাঁটিয়ে চড়ের
মায়ের খিদে বেশ্যা শোনার
তার বিশ্রাম কালশিটেতে,
নখের দাগে, রক্তপাতে।
মায়ের ইচ্ছে চোখের জলে, 
অপমানে, অসম্মানে।
জন্মগত অধিকার তার লক্ষ্মী হয়ে ওঠা।
তারপর?
খুব গরম লাগছে বলে 
কান দুখানি লাল হয়ে ওঠে খুব,
চোখের জলে ভাটা এল যেই
ঘুরতে থাকা ফ্যানের ব্লেডের তালে
মায়ের শরীর ঘোরে।

লক্ষ্মীর পাঁচালী হাতে আলতা পায়ের ছাপে
তুলসী গন্ধে মায়ের মত কেউ
দুচোখ জুড়ে ঘর বুনে যায়
আমাদের শৈশবে।



Comments