Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

টুকরো কথা- ২৬

হাতে সময় বড়ই কম। এত ঘাত-প্রত্যাঘাতের হিসেব মেলানোর সময় কোথায়? বহু মানুষের ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার সাধ্য নেই, আবার পদপৃষ্ট হওয়ার ভয়ে মরব বলেও মরা হলনা। এমনই ভারসাম্যহীন, এতই শৃঙ্খলপ্রবণ জীবন যে সে আটকে পড়ল বেঁচে যাওয়া আর মরে পড়ে থাকার মাঝামাঝি কোনও এক নামহীন স্তরে। তাকে যতই সন্ধিক্ষণ ভাবার চেষ্টা করি ততই সে সরতে থাকে কোনও এক প্রান্তে। ডাক্তার দেখালে হয়তো ভ্রূ কুঁচকে বলতেন বাইপোলার ডিসঅর্ডার। আমার পছন্দ হলনা। বললাম প্রান্তিক মানুষ যে মধ্যপন্থা বেছে নিতে পারলনা বলে... ভোরের সদ্যজাত আলো আর গোধূলীর মরতে বসা আলোর মাঝখানে এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে যারা দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ দেখে, কেউ দেখেনা। 


Comments