Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

উড়োচিঠি- ০৪

প্রিয় দাসমশাই,

এই বোবা শহরে তন্নতন্ন করে তোকে খুঁজেগেছি কতবার। ছন্দহীন, তালহীন বেসুরো গানে বৃষ্টি নামে আজ। লাল পাখি ভিড় করে উঠোনে। তোকে দেখাতে পারেনি বলে চোখদুটো আমার দৃষ্টি ঝাপসা করে দেয়। সাইকেল নামাই। বড় রাস্তা পেরোতেই সেলিমপুর, গাঙ্গুলীবাগান, যাদবপুরের গলিপথ হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়ে লকফিল্ডের অচেনা ব্লেকস্ট্রীটে। বরফে ঢেকে যায় সন্ধ্যে মেখে দাঁড়িয়ে থাকা কলকাতার অলিগলি। এই ধূসর রঙ আমি চিনিনা। বিচ্ছেদ আর ভালোবাসার মাঝে সমর্পণের মত শব্দ হারিয়ে গেছে, বহুদিন। অভিমান সত্যিই জমাট বাঁধে, বরফের মত ঠান্ডা। খুব শীত করে। ক্যালপল খাবোনা আর। চোখ পুড়ে পুড়ে ধূসর রঙ গাঢ় হয়, কালো খুব কালো। তার মাঝে মাঝে লাল রঙে মিশে যায় ঠোঁট। তুই আমার যাপনের ঠিক কতখানি জুড়ে আছিস তা এই অক্ষর জানেনা। ওরা প্রশ্ন করলে আমি বলেছি ওদের, তোর নাম। গোটা পৃথিবীকে নিঃশব্দে জানিয়ে এসেছি, ভালোবাসি। দ্বন্দ্বের সীমান্তে আমার জীবন, কাঁটাতারের বেড়া রক্তাক্ত করে রোজ। ফেরা হবে তো আমার? কোনওদিন?

কেন? কোথায়? কিচ্ছু জানিনা। শুধু জানি,

প্রশ্নহীন উত্তরময় জীবন তোর হোক। আমি কাগজি ফুলের গোছা নিয়ে দাঁড়াব শব্দের কাছে। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে তুই লিখবি ঘর-বাড়ি-আমি-তুই----

তোর,

কথা


Comments