Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

টুকরো কথা- ২৭

তুমি বললে একঘেঁয়ে সব, আমি শুনলাম বিষম বালাই, অভ্যেস। গুহাবাসী অন্ধ মানুষ আমি। আমার জীবনে মেঘ করে রোজ সকাল বিকেল। বৃষ্টি পড়ে, পা ডুবে যায় এমনি জলে। আমার দৃষ্টি রক্তজমাট নীলচে কালো। তুমি এলে চোখ ধাঁধিয়ে। পথিক হয়ে পথ হারিয়ে। অন্ধকারে লুকোচুরি খেলা, চোখ বাঁধলে অন্ধ সাজবে বলে। দৃষ্টি হারায় গহীন বনে, তামসিক মন কাঁপল বুঝি খেলনা বাটি ফেলে। শুকনো পাতাও ফিরে আসার শব্দ শোনে?

আমার ছিল জুঁইফুল ঘর। সেদিন হঠাৎ গুমোট গন্ধ এলো। ছত্রাক এলো দেওয়াল ভরে, বিছিয়ে গেল অন্ধ আমি-র চামড়া জুড়ে। আমার ছিল শাপলা ভরা দিঘি। তুমি তুললেও ফুল একটা দুটো। পাপড়ি খসল, পচন ধরে। থামল সেদিন তোমার আমার খেলনা জীবন। 

রোদ্দুর এল পর্দার ফাঁক দিয়ে। চোখ খুলতেই গোলাপি রঙে উঠোন ভরে। ভোরের আলো পড়ল তোমার দুচোখ বেয়ে। পাটভাঙা এক তাঁতের শাড়ি। রঙবেরঙের গল্পগুলো গোলাপ হয়ে ফুটল একে একে। আমি দেখলাম খামখেয়ালি কৃষ্ণকলি গল্প বলে আজ পদ্মদিঘির মাঠে। 

"বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস, এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে। পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস দুয়ার চেপে ধরে–"

Comments