Skip to main content

Featured

যে চোখ দিয়ে আমি মানুষ চিনলাম, যে কান দিয়ে আমি শুনলাম ভালোবাসি, যে হৃদয় দিলাম শতদল করে, সবশেষে যে শরীর আমি চিনেছি ঈশ্বররূপে, তার প্রতিটি স্তর মিথ্যে, আবেশ মিথ্যে। এমন ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা অতি বড় শত্রুরও যেন না হয়। 

টুকরো কথা- ২৭

তুমি বললে একঘেঁয়ে সব, আমি শুনলাম বিষম বালাই, অভ্যেস। গুহাবাসী অন্ধ মানুষ আমি। আমার জীবনে মেঘ করে রোজ সকাল বিকেল। বৃষ্টি পড়ে, পা ডুবে যায় এমনি জলে। আমার দৃষ্টি রক্তজমাট নীলচে কালো। তুমি এলে চোখ ধাঁধিয়ে। পথিক হয়ে পথ হারিয়ে। অন্ধকারে লুকোচুরি খেলা, চোখ বাঁধলে অন্ধ সাজবে বলে। দৃষ্টি হারায় গহীন বনে, তামসিক মন কাঁপল বুঝি খেলনা বাটি ফেলে। শুকনো পাতাও ফিরে আসার শব্দ শোনে?

আমার ছিল জুঁইফুল ঘর। সেদিন হঠাৎ গুমোট গন্ধ এলো। ছত্রাক এলো দেওয়াল ভরে, বিছিয়ে গেল অন্ধ আমি-র চামড়া জুড়ে। আমার ছিল শাপলা ভরা দিঘি। তুমি তুললেও ফুল একটা দুটো। পাপড়ি খসল, পচন ধরে। থামল সেদিন তোমার আমার খেলনা জীবন। 

রোদ্দুর এল পর্দার ফাঁক দিয়ে। চোখ খুলতেই গোলাপি রঙে উঠোন ভরে। ভোরের আলো পড়ল তোমার দুচোখ বেয়ে। পাটভাঙা এক তাঁতের শাড়ি। রঙবেরঙের গল্পগুলো গোলাপ হয়ে ফুটল একে একে। আমি দেখলাম খামখেয়ালি কৃষ্ণকলি গল্প বলে আজ পদ্মদিঘির মাঠে। 

"বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস, এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে। পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস দুয়ার চেপে ধরে–"

Comments