Skip to main content

Featured

টুকরো কথা - ২৯

এভাবেই শেষ হওয়ার ছিল হয়তো। কত চিৎকার কত চোখের জলকে চুপ করিয়ে দিয়ে চলে যেতে হত বহুদূর। ক্ষমা করতে হত, সত্যি ক্ষমা করতে হত শত অন্যায়। অথচ ক্ষমা করতে পারলে চলে যেতে হত না সব কিছু অক্ষত ফেলে। দিনের শেষে বুঝলাম ক্ষমা অত্যন্ত দ্বিপাক্ষিক। আমরা একচেটিয়া ক্ষমা করি বা করি না। আমাদের গলা টিপে মেরে ফেলতে হয় নিজের না বলা কথা। কান্না গিলতে গিলতে গলা ব্যথা হয়ে যায়। ক্ষমাহীন হয়ে থেকে যেতে নেই। অনেক দেরী হয়ে গেল বুঝতে। তার মধ্যে কালশিটে থেকে না খেয়ে বমি, রাতের পর রাত জেগে থেকে ভাবা কী করলে সহজে কম কষ্টে আরেকটু কম কষ্টে মরতে পারব কোনও কিছুই বাদ দেইনি। কারণ আমি মরেছি অনেকবার। অনেক কাটা দাগ নিয়ে আবার উঠেছি ঘুম থেকে। ভুলতে পারব না অনেক কিছুই কিন্তু আমায় শিখতে হবে ক্ষমা করে আরও দূরে চলে যেতে, এতটাই দূরে যেখান থেকে নিজেকে দেখা যায়না।

টুকরো কথা- ২৫

ভালোবাসে সে এমন একজন সহজ সরল মানুষ, নিষ্কলুষ। ঘাসফুল তুলে তুলে একগোছা করে দেবে প্রেমিকার হাতে। তাঁর বেণী থেকে ভেসে আসবে দোলনচাঁপা-ঘ্রাণ। নাকি প্রেমিকের হাতে করে বেঁধে দেওয়া যত্নের কিংবা অনেকদিনের আগলে রাখা নাম না জানা, মরচে পড়া গোপন দুঃখ। প্রেমিকাও জানবেনা প্রেমিকের সেই দুঃখযাপন। জানবেনা তাঁর আগলে রাখার, ফুলটি দেওয়ার গোপন কারণ। প্রতিপদের চাঁদ জানে নিশিপদ্ম ছুঁয়ে গেছে স্বপ্নকাতর প্রেমিকার দুই পা। 

Comments

Post a Comment